Header Ads

test

শচীন টেন্ডুলকার


শচীন টেন্ডুলকার

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ২০০তম টেস্ট খেলে; ২৪ বছরের ক্রিকেটীয় অধ্যায়ের ইতি টানবেন শচীন টেন্ডুলকার। তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অনেক কিছুই জানেন ভক্তরা। আবার অজানাও রয়েছে কিছু ব্যাপার।

১. সুরের জাদুকর শচীন দেব বর্মণের নামে বাবা রমেশ টেন্ডুলকার তাঁর ছেলের নাম রেখেছিলেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার।
২. ডান হাতে ব্যাট ধরলেও ক্রিকেট ঈশ্বর কলম ধরেন বাম হাতে।
৩. নেট অনুশীলনে আউট না হয়ে পুরো সেশন ব্যাট করতে পারলে তার কোচ রমাকান্ত আচরেকারের কাছ থেকে একটি করে পয়সা পেতেন শচীন। এমনি করে জমেছিল ১৩টি কয়েন।
৪. বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে স্কুল ক্রিকেটে ৬৬৪ রানের বিখ্যাত জুটির সময় প্রতিপক্ষের এক বোলারকে কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন টেন্ডুলকার।
৪. কিশোর বয়সে ঘুমাতেন ক্রিকেট ব্যাগ মাথার নিচে দিয়ে।
৫. ফাস্ট বোলার হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়েই এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনে গিয়েছিলেন। তবে, অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি বোলার ডেনিস লিলির নজর কাড়তে পারেননি। ক্রিকেট বিশ্বের সৌভাগ্য সেদিন লিলি সাচীনকে ব্যাটিংয়ের ওপর-ই নজর দিতে বলেছিলেন।
৬. ১৯৮৮ সালে খেলা প্রতিটি ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ১৫ বছর বয়সী টেন্ডুলকার।
৭. অভিষেক টেস্টে সাচীন মাঠে নেমেছিলেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের উপহার দেয়া প্যাড পরে। বাম পায়ের প্যাডটাই সবসময় আগে পড়ে থাকেন।
৮. ওডিআই অভিষেকে রানের খাতা খুলতে পারেননি। আউট হয়েছিলেন ওয়াকার ইউনুসের বলে।
৯. পাঁচফুট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার সাচীন ওডিআই ম্যাচে মাঠে নামতেন দশ অথবা ৯৯ নম্বর জার্সি পড়েই।
১০. থার্ড আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্তে আউট হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান সচীন।
১১. একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে করেছেন সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। তবে, লর্ডসে কখনোই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারেননি টেন্ডলিয়া।
১২. লিটল মাস্টার যখন ব্যাট তখন কোন খাবার খান না তাঁর স্ত্রী আনজালি।
১৩. প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭৯ টি ম্যাচ। ওই সময়ে তিনি করেছিলেন ৭ টি টেস্ট সেঞ্চুরি।
১৪. মাস্টার ব্লাস্টারের প্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।
১৫. প্রিয় মাঠ সিডনী ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
১৬. শচীন অবিশ্বাস্য রকমের ভারী ব্যাট ব্যবহার করেন যার ওজন ৩.২ পাউন্ড।
১৭. সুনীল গাভাস্কার, ইমরান খান, স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ও কিংবদন্তি টেনিস তারকা জন ম্যাকএনরো তাঁর স্পোর্টিং আইডল।
১৮. ক্রিকেটার না হলে টেনিস খেলোয়াড় হতেন শচীন। সুইস মায়েস্ত্রো রজার ফেডেরারের সাথে রয়েছে দারুণ বন্ধুত্ব।
১৯. মোটর স্পোর্টের ভীষণ ভক্ত টেন্ডুলকার। ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন মাইকেল শুমাখার তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন একটি ফেরারি স্পোর্টস কার।
২০. সৌরভ গাঙ্গুলীকে বাবু মশাই বা বড়ো দাদা বলেই ডাকেন শচীন। আর গাঙ্গুলী তাঁকে ডাকেন ছোটা বাবু বা ছোট দাদা।

১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে; ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বল বয় ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। 

No comments